English
মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪
...

ভবনের লাভজনক ব্যবহার করতে গিয়ে সর্বস্বান্ত হবেননাঃ প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা - ফাইল ছবি

ঢাকা, শুক্রবার, ৫ এপ্রিল ২০১৯, সরকার ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, "ভবনের প্রতি ইঞ্চি জায়গা লাভজনক ব্যবহারের জন্য নিজেদের সর্বনাশটা যেন কেউ ডেকে না আনে। সর্বস্বান্ত না হন।" প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আজ বিকেলে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রিয় কার্যনির্বাহী সংসদের  সভায় বক্তব্যদানকালে ঢাকা মহানগরীতে সাম্প্রতিক সংগঠিত বিভিন্ন অগ্নিকাণ্ড প্রসঙ্গে একথা বলেন।       ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, "যখন কোথাও আগুন লাগে সেখানে শুধু শুধু বিপুল সংখ্যক জনগণ জড়ো হয়ে দমকল কর্মীদের আগুন নেভানোর কাজে বিঘেœর সৃষ্টি করে। এদের মধ্যে অনেকে আছে যারা কেবল কি হচ্ছে দেখার জন্য যায় এবং মোবাইলে সেলফি তোলে, আমি বুঝি না এখানে সেলফি তোলার কি আছে।’ তিনি বলেন, ‘ঘটনার ছবি না তুলে তারা কয়েক বালতি পানিওতো এগিয়ে দিয়ে আগুন নেভানোয় অংশ নিতে পারে, তাদের আসলে মানসিকতাটার পরিবর্তন দরকার এবং কিভাবে আগুন নেভানোয় সহযোগিতা করা যায় সে বিষয়ে চিন্তা করা উচিত।" 

শেখ হাসিনা পূর্ববর্তী সকারের অপরিকল্পিত ব্যবস্থাপনা ও দায়িত্বহীনতার কঠোর সমালোচনা করে বলেন, "সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয় আগুন লাগলে এখন পাানি পাওয়া যায় না। অথচ, ঢাকায় এত খাল ছিল, এত পুকুর ছিল, অথচ এখন নাই। কজেই যারাই কোন স্থাপনা করবে সেখানে যেন জলাধার টিকে থাকে। আর পুকুর দেখলে... তার মধ্যে দালান করা এটাও একটা প্রবণতা, যেটি বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। তিনি বলেন, গুলশান লেক এখন যা আছে তার দ্বিগুণ চওড়া ছিল। একেক জন ক্ষমতায় এসেছে, জিয়া এসেছে অর্ধেক ভরাট করে প্লট বানিয়ে দিয়েছে। এরশাদ এসেছে প্লট বানিয়েছে। খালেদা জিয়া এসে প্লট বানিয়েছে। এভাবে বানাতে বানাতে লেকের অর্ধেক আছে। আর বনানী লেকটাতো বন্ধই।" 

সরকার প্রধান বলেন, "এভাবে জলাধারগুলো একে একে করে বন্ধ করা, এটাও বোঝা উচিত যে আগুন লাগলে পানি নাই। ভূমিকম্প হলে কোথাও গিয়ে দাঁড়ানোর জায়গা নাই। তাহলে অবস্থাটা কি দাঁড়ালো। দালানগুলো এমনভাবে বানানো হয় যে তার ফায়ার এক্সিট থাকে না, ইন্টেরিয়ার ডেকোরেশন করতে গিয়ে ফায়ার এক্সিট বন্ধ। সেখান দিয়ে কারো ওঠার উপায় নাই, নামারও উপায় নাই। মার্কেটগুলোতে ফায়ার এক্সিট মাল রাখার জন্য বা স্টোরেজ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।"

প্রধানমন্ত্রী বলেন, "আগুন লাগলে দায়িত্ব হচ্ছে ফায়ার বিগ্রেড আগুন নেভাবে। কিন্তু আগুন যাতে না লাগে যারা দালানগুলো বানায়, যারা বসবাস করে, যারা ব্যবহার করে- সকলেরই দায়িত্ব আছে। আমরা বার বার বলি, যখন ডিজাইন দেয়া হয় তখনো বলি। যারা স্থাপনাগুলো ব্যবহার করছেন তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব, যেন সেখানে আগুন না লাগে। অগ্নি নির্বাপনের ব্যবস্থা যেন থাকে। আর সাথে সাথে কি করতে হবে সেটাও যেন দেয়া থাকে।" 




মন্তব্য

মন্তব্য করুন