সরকারের পতন ঘটাতে এসে বিএনপির পতন ঘটেছে: তথ্যমন্ত্রী
- রাজনীতি নির্বাচন - রাজনীতি
- ১২ ডিসেম্বর ২০২২ - ২ বছর আগে
- পড়া হয়েছে - ৩৭১৫২
ঢাকা, ১২ ডিসেম্বর ২০২২, সোমবারঃ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, "বিএনপি নেতারা সরকারের পদত্যাগ চাইতে এসে নিজেরা সংসদ থেকে পদত্যাগ করে বসেছেন।" তিনি আজ দুপুরে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসাবে চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেসিয়াম মাঠে বক্তব্য রাখেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, "বিএনপি বলেছিল সরকারের পতন ঘটাবে, ১০ তারিখের পর থেকে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দেশ চলবে। তারা সরকারের পতন ঘটাতে এসে নিজেদের পতন ঘটিয়ে দিয়েছে। সরকারের পদত্যাগ চাইতে এসে নিজেরা পদত্যাগ করে বসলেন সংসদ থেকে। বিএনপি মনে করেছে সংসদ থেকে পদত্যাগ করলে সরকারের ভিত নড়ে যাবে। সরকারের একটু কাতুকুতু লেগেছে, এর বেশি কিছু হয়নি। তাঁরা যেদিন পদত্যাগ করেছেন, সেদিনই সংসদ সচিবালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে সংসদের আসন শূন্য ঘোষণা করেছে। সামনে উপনির্বাচন হবে, এখন তাঁরা বুঝবেন কী ভুল তাঁরা করেছেন।"
আওয়ামী লীগকে ধাক্কা দিতে গিয়ে বিএনপি নিজেরাই ধাক্কা খেয়ে পড়ে গেছে দাবি করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, "আওয়ামী লীগ এমন শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে আছে যে কেউ ধাক্কা দিলে সে-ই নিচে পড়ে যায়। কঠিন দেওয়ালের সঙ্গে ধাক্কা খেলে দেওয়ালের যেমন কিছু হয় না। উল্টো যে ধাক্কা দেয় সেই মাথায় ব্যথা পায়। তেমনি আওয়ামী লীগের সঙ্গে ধাক্কা খেতে এলে আওয়ামী লীগের কিছুই হবে না। উল্টো বিএনপি ভেঙে পড়ে যাবে।"
ড. হাছান বলেন, "বিএনপি বলেছিল, ১০ ডিসেম্বর তাদের ১ দফা দাবি। আর সমাবেশে তারা দিল ১০ দফা দাবি। তাদের দাবিগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়লাম। নতুন কোনো কিছু সেখানে নেই। ১ দফা থেকে এখন ১০ দফায় গেছে। গাধার জল ঘোলা করে খাওয়ার মতোই বিএনপি নয়াপল্টনের রাস্তায় ১০ লাখ মানুষের সমাবেশ করার কথা বলে গোলাপবাগ মাঠে ৫০ হাজার মানুষের সমাবেশ করেছে।"
তিনি আরো... বলেন, "১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। অনেক হিসেব-নিকেশ করেই বিএনপি ঢাকায় সমাবেশের আয়োজন করেছিলো। তারা ঘোষণা দিয়েছিলেন, দশ লাখ মানুষের সমাবেশ হবে। শেষমেষ বিএনপি অফিসের ভেতরে পাওয়া গেল পনেরটি তাজা বোমা, ১৬০ বস্তা চাল, আড়াই লাখ পানির বোতল আর লাঠিসোটা। তার মানে হচ্ছে তারা আসলে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর জন্য নয়াপল্টনে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছিলো।"
চট্টগ্রামের মানুষ বারবার আন্দোলন সংগ্রামের অগ্রভাগে থেকেছে এ ইতিহাস স্মরণ করিয়ে দিয়ে চট্টগ্রাম ৭ আসনের এমপি হাছান মাহমুদ তার আবেগ-উচ্ছাস প্রকাশ করে বলেন, "আওয়ামী লীগের সংগ্রামের কাফেলাকে এগিয়ে নিয়ে গেছে চট্টগ্রামের নেতা-কর্মীরা। ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে পাখি শিকার করার মতো করে মানুষ শিকার করে আমাদের নেত্রীকে হত্যা করার চেষ্ঠা করা হয়েছিলো। চট্টগ্রামের ৩২ জন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী সেদিন জীবন দিয়েছিল।"
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের পরিচালনায় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রকৌশলী মোশাররফ হোসেন এমপি। প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। প্রধান বক্তা ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ, হুইপ সামশুল হক চৌধুরী, সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান, ড. আবু রেজা মো. নেজামুদ্দিন নদভী, আওয়ামী লীগের - দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক ওয়াসিকা আয়েশা খান, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আজম নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ সালাম, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতৃবর্গ।
মন্তব্য