জাতির ভবিষ্যত বিনির্মাণে দায়িত্বশীল তরুণ নেতৃত্ব চান প্রধানমন্ত্রী
- রাজনীতি নির্বাচন
- ২৪ ফেব্রয়ারি ২০১৯ - ৬ বছর আগে
- পড়া হয়েছে - ২৬৬৩৯
ঢাকা, মঙ্গলবার, ৮ জানুয়ারি ২০১৯, প্রশাসন ডেস্কঃ "আমরা একটা ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তৈরি করে রেখে যাই। আমার পরিস্কার কথা সেজন্যই আমরা পরিবর্তন এনেছি। সবার উপর নজর রাখবো এবং কে কি করে আমরা দেখতে চাই।" আজ রাতে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি, উপদেষ্টা পরিষদের নেতৃবৃন্দ এবং নবগঠিত মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, "বয়স ৭০-এর উপরে হয়ে গেছে কখন মরে যাই তার ঠিক নাই ! তাই আমরা নতুন প্রজন্মের ওপরে দায়িত্ব দিয়ে দেখতে চাই তাঁরা কেমন পারে ! যদিও নিউজেনারেশনের কারোরই বয়স এখন কম নয়, কাজেই তাদের সবাইকে বিষয়গুলো জানতে হবে, বুঝতে হবে এবং তারপর কাজ করতে হবে।"
"আমরা এবার যে সরকার গঠন করলাম সেখানে আমি একটা কাজ করেছি। যারা ১০ বছর একটানা মন্ত্রী ছিলেন, তাদের পরিবর্তে নতুন কিছু মুখ নিয়ে আসতে চাচ্ছিলাম " নবগঠিত মন্ত্রীপরিষদে তরুণ ও নবাগতদের আধিক্যের ব্যাখ্যায় একথা বললেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সুদীর্ঘদিনের নেতৃত্বদানকারী সভাপতি শেখ হাসিনা।
"তবে যারা মন্ত্রী ছিলেন তারা সফল ছিলেন বলেই উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের উত্তরণ ঘটেছে এবং জনগণের জীবন-মানের উন্নয়ন হয়েছে। কাজেই এমন কথা যেন আমি না শুনি তারা ব্যর্থ ছিলেন বলেই বাদ দেয়া হয়েছে।’ মন্ত্রিসভায় পরিবর্তনের কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, ‘আমাদের তো ৭০-এর ওপরে বয়স হয়ে গেছে। তাই নতুন একটি সেটকে একটু ট্রেনিং করানো, বা তাদেরকে আনা বা তাঁরা যেন একটু শিখতে পারে, আমরা তা করতে চেষ্টা করেছি ," যোগ করেন তিনি।
চলমান মেগা প্রজেক্টগুলোর বাস্তবায়ন সম্পর্কে নবগঠিত মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদেরকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, "যারা আজকে নতুন দায়িত্ব পেয়েছেন তাঁদেরকে দেশের চলমান সফলতাটাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে... হবে। সবকিছু জেনে বুঝে তারপর পদক্ষেপ নিতে হবে। আমরা একটু ট্রেনিং দিয়ে রেখে যেতে চাই।"
একাদশ জাতীয় নির্বাচনে দেশের জনগণকে দায়িত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করার জন্য ধন্যবাদ দিতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, "মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি না স্বাধীনতা বিরোধী, খুনী, আগুন সন্ত্রাসীরা ক্ষমতায় আসবে সেটার একটা প্রশ্ন ছিল। তবে তিনি যেখানেই গিয়েছেন (ভোটের জন্য) জনগণের মাঝে অভূতপূর্ব সাড়া প্রত্যক্ষ করেছেন। কারণ তাঁদের মাঝে এই ধারণা বদ্ধমূল ছিল নৌকা ক্ষমতায় আসলেই তাঁরা কেবল শান্তিতে থাকতে পারবেন, দেশের উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে।"
প্রধানমন্ত্রী তাঁর কেবিনেটে আঞ্চলিক অংশদারিত্বের সুষম ও ন্যায়সঙ্গত বণ্টন প্রসঙ্গে বলেন, "যেসব জেলায় আজ পর্যন্ত কোনদিন কেউ মন্ত্রী হয় নাই ’৯৬ কিংবা ২০০৮ কিংবা ২০১৪ সালেও হয়নি সেসব জেলাগুলো থেকে তিনি মন্ত্রী করার একটা চেষ্টা করেছেন। কারণ স্বাভাবিক একটা ধারণা রয়েছে যে, জেলার মন্ত্রী হয় সে জেলার উন্নয়ন হয়। যদিও তাঁর সরকার উন্নয়নের সমতায় বিশ্বাসী।"
’৯১ এবং ২০০১ সালের নির্বাচন পরবর্তী সংখ্যালঘু নির্যাতন ও দলের নেতা-কর্মীদের হত্যা সহ বিভিন্ন সহিংসতা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, "আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে না পারলে এ সময় বিএনপি-জামায়াত দেশে গণহত্যা শুরু করে দিত। তাদের সেই চরিত্র আমরা দেখেছি। কিন্তু তাদের মত আচরণ আমরা করতে চাই না। আমরা চাই দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকুক।"
রংপুর সহ সারাদেশের নির্বাচনী প্রচারনা কালে হাজার হাজার মানুষের ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার উদাহরণ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "তরুণ, যুবক, আবাল, বৃদ্ধ বনিতা-সকল শ্রেণীর মানুষের নৌকার ভোট প্রদানের জন্য আকাক্সক্ষাটা তীব্র ছিল।"
বিএনপি’র ভরাডুবির অন্যতম কারণ হিসেবে শেখ হাসিনা মনোনয়ন বানিজ্যকে কারন হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি পরোক্ষ ভাবে লন্ডনে অবস্থানরত তারেক রহমান এবং ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় জরিতদের বিরুদ্ধে মনোনয়ন বিক্রি করার অভিযোগ করেন।
মন্তব্য