আদালতের জামিনেই শুধু বেগম জিয়ার মুক্তি: তথ্যমন্ত্রী
- জাতীয় - সরকার
- ০৮ ফেব্রয়ারি ২০২০ - ৫ বছর আগে
- পড়া হয়েছে - ২১৬৯৬
ঢাকা, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, শনিবারঃ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, "সভা-সমাবেশ করে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি মিলবে না। বরং বিএনপির এই দাবিতে সমাবেশ করা মানে আইন-আদালতের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন।"
জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। বিএনপির সমাবেশ প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, "দুর্নীতির দায়ে আদালতের বিচারে সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে কেবল আদালতে জামিন বা খালাস পাওয়া ছাড়া বেগম জিয়ার মুক্তির অন্য কোনো পথ নেই।"
ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, "দেশের এই উন্নয়ন যারা সহ্য করতে পারে না, শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়ে তারা যে ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে, তা থেকে সমগ্র জাতিকে সতর্ক থাকতে হবে।"
তিনি বলেন, "বিএনপি’র মেশিন বেচার ইতিহাস রয়েছে, বিএনপি তাদের আমলে আদমজী পাটকলসহ দেশের বিভিন্ন কলকারখানা বন্ধ করে সেখানকার মেশিনপত্র কেজি দরে বেচে দিয়েছিল বলেই তাদের নেতা খসরু সাহেব আজ নির্বাচনে হেরে ইভিএমগুলো কেজি দরে বেচার কথা বলার ধৃষ্টতা দেখিয়েছেন।"
সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর উদ্বৃত্ত অর্থ রাষ্ট্রীয় খাতে জমা রাখার বিধানের বিরুদ্ধে বিএনপিনেতা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সমালোচনাকে অযৌক্তিক বলে বর্ণনা... করা ড. হাছান বলেন, "কিছু সরকারি প্রতিষ্ঠানের উদ্বৃত্ত অর্থ বিভিন্ন তফসিলি ব্যাংকে রাখা হতো, যার হিসাব প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন প্রতিবেদনে সময়ে সময়ে অপ্রদর্শিত থাকায় তা অর্থনীতিতে যুক্তও হতো না।"
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, "বঙ্গবন্ধু শুধু দেশ স্বাধীনই করেননি, দেশের ভেতরে এক কোটি গৃহহারা ও ভারতে আশ্রিত প্রায় আরো এক কোটি মানুষকে পুণর্বাসিত করেছেন। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে যাওয়া যাওয়া ধ্বংসস্তুপের ভেতর থেকে দেশের অর্থনীতির ইতিহাসে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি এনে দিয়েছেন।"
তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, "বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর দেশ যে দুর্নীতি-দুঃশাসনে পিছিয়ে পড়েছিল, বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবার বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে দেশকে অদম্য গতিতে এগিয়ে নিচ্ছেন। সমস্ত সূচকে আজ আমরা পাকিস্তানকে পেছনে ফেলেছি। গত ১১ বছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির গড় হার বিশ্বে সর্বোচ্চ।"
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি প্রখ্যাত অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরী'র সভাপতিত্বে সভায় আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিক কণ্ঠশিল্পী মো. রফিকুল আলম, সাংবাদিক মানিক লাল ঘোষ, অভিনেত্রী তারিন জাহান, শাহনূরসহ এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা যোগ দেন।
মন্তব্য