English
বৃহস্পতিবার ০৩ অক্টোবর ২০২৪
...

পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়নে সমন্বিত প্রচেষ্টার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ

ঢাকা, ১ ডিসেম্বর ২০১৯, রবিবার: পার্বত্য শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের ২২ বছরপূর্তি উপলক্ষে এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ '' পার্বত্য জেলাসমূহের উন্নয়ন সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।'' একই সাথে, পার্বত্য এলাকার অধিবাসীদের রাষ্ট্রপতি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

আবদুল হামিদ বলেন, "বাংলাদেশের জেলা খাগড়াছড়ি, বান্দরবান এবং রাঙ্গামাটি নৈসর্গিক সৌন্দর্য্যরে অপার আধার। যুগযুগ ধরে পাহাড়ে বসবাসরত বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর বর্ণিল জীবনাচার, ভাষা, কৃষ্টি ও সংস্কৃতি এ অঞ্চলকে বিশেষভাবে বৈশিষ্ট্যমন্ডিত করেছে।"

রাষ্ট্রপতি বলেন, "পার্বত্য জেলাগুলোর আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে সরকার গঠিত... পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক জাতীয় কমিটি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে এক ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এর ফলে পার্বত্য জেলাসমূহে দীর্ঘদিনের সংঘাতের অবসান ঘটে। সূচিত হয় শান্তির পথচলা। শান্তিপূর্ণভাবে বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে বিশ্বে এটি একটি অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।"

রাষ্ট্রপতি বলেন, "পার্বত্য চট্টগ্রাম প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সম্ভাবনাময় অঞ্চল। শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় গঠিত হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ। শান্তিচুক্তির ফলে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের আর্থসামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হচ্ছে। পার্বত্য এলাকার উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে পার্বত্য শান্তি চুক্তি ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে রাষ্ট্রপতি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।"




মন্তব্য

মন্তব্য করুন